এমন কয়েকটি রান্নাঘরের গুরুত্বপূর্ণ টিপস যা আপনার কাজকে সহজ করে দিবে!

রান্নাঘরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস যা আপনার অনেক কাজে আসবে।

মাছ মাংস:

সমস্যা: মাছ-মাংস ফ্রিজ থেকে বের করার পর দেখা যায় কেমন যেন নেতিয়ে গেছে। রসালো সেই ভাবটা নেই যেমনটা ফ্রেশ মাছ-মাংসে হয়।

করণীয়:  ফ্রিজ থেকে মাছ বা মাংস বের করে রেখে দিবেন বরফটা খুলে আসা পর্যন্ত। তারপর যখন বরফ খুলে আসবে, তারপর মাছটা সুন্দর করে ধুয়ে লবণ দিয়ে মাখিয়ে রাখবেন। ১-২ ঘন্টা বা রান্নার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত লবণ মাখা অবস্থায় রেখে দিবেন। রান্না আগে সুন্দর করে ধুয়ে নিবেন দেখবেন একদম ফ্রেশ লাগছে আপনি বুঝবেনই না এটা ফ্রজেন করা ছিল। আর টেস্ট ও মাশাআল্লাহ দারুন হয়।




শাকসবজি ও কাঁচামরিচ:

সমস্যা ¹: নরমাল ফ্রিজ এ কিন্তু আমরা অনেক রকম শাক সবজি-ফল ও কাঁচা মরিচ রেখে দেই বেশ কয়েকদিন সংরক্ষণ করার জন্য।বেশিরভাগ মানুষই এগুলো পলিথিনের ব্যাগ এ রাখে যার কারণে খুব তাড়াতাড়ি সেগুলো পচে নষ্ট হয়ে যায়।

করণীয় ¹:  নরমাল কাপড়ের ব্যাগে রেখে দিবেন ইনশাআল্লাহ অনেকদিন ভালো থাকবে। বিকল্প পদ্ধতি: আর তাও যদি না থাকে তাহলে কাগজে মুড়িয়ে সেটা পলিথিনের ব্যাগে রাখতে পারেন কোন সমস্যা হবে না।
কারণ ¹: সরাসরি পলিথিনের ব্যাগে রাখলে পলিথিনের ব্যাগ এর মধ্যে বাষ্প জমে সবজি গুলোতে পচন ধরে তাড়াতাড়ি।




সমস্যা ²: অনেক সময় রান্না করতে গেলে শাক সব্জি সিদ্ধ হতে চায়না।
করণীয় ²: এক চিমটি খাবার সোডা দিয়ে দিবেন দেখবেন খুব সহজে সিদ্ধ হয়ে গিয়েছে।

পেঁয়াজ কাটা নিয়ে সমস্যা:

সমস্যা: আমাদের সবারই কিন্তু একটাই চিন্তা যদি পেঁয়াজ কাটতে না হতো তাহলে কাজগুলো কত ইজি হয়ে যেত। কারণ পেয়াজ কাটতে গেলে চোখ জ্বালা করে অনেকেরই। যাদের চোখ খুব বেশী সেনসিটিভ তাদের এইটা খুব বেশি হয়।

করণীয়: পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে দুই ভাগ করে পানির মধ্যে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখবেন। তারপর যেমনভাবে ইচ্ছা যত ইচ্ছা কুচিকুচি করে কাটবেন। চোখে জ্বালা করবে না ইনশাআল্লাহ।
আবার একদিনে বেশি করে পেয়াজ কুচি করে একটা বক্সে করে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। যখন দরকার বের করে নিলেন। কারণ পেয়াজ কুচি ফ্রিজ এ রাখলে বেশি জমে না ঝুরঝুরেই থাকে। আবার বেশি করে পেঁয়াজ বেরেস্তা করেও এয়ারটাইট বক্সে নরমাল ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। খুব ইজিলি রান্নার সময় ব্যবহার করা যায় এবং কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়।




অতিরিক্ত মিষ্টি দই:

সমস্যা: বাসায় অনেক সময় আত্মীয়-স্বজনরা আসলে অনেক দই মিষ্টি নিয়ে আসে আবার তাদেরকে আপ্যায়ন করার জন্য আমরাও আগে থেকে নিয়ে এসে রাখি। এটা কিন্তু একদমই একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে আমরা কখনও কখনও একদম বিরক্তি হয়ে যাই এগুলো খেতে খেতে। মিষ্টি জিনিস বেশি খেতে ভালো লাগে না। কখনো নষ্ট করে ফেলে দিতে হয় আবার কখনো ইচ্ছা না থাকলেও খেয়ে নিতে হয়।

করণীয়: এখন থেকে একটা এয়ারটাইট বক্সে করে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিবেন মিষ্টি দই। অনেক দিন ভালো থাকে আর যখন মন চায় বের করে খেতে পারবেন। সাদ কিন্তু একদমই চেঞ্জ হয়না।

ইফতারের আগে:

¹ যারা ব্যস্ত মানুষ তারা ইফতারের আগে অনেক তাড়াহুড়ো করে ইফতারি বানায়। আর ইফতার এর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল শরবত। লেবু ধুয়ে কেটে রস বের করতে বেশ খানিকটা সময় চলে যায়।




করণীয়: অনেকগুলো লেবু একসাথে রস বের করে ছোট ছোট কিউব ট্রে তে রেখে দিবেন। শরবত বানানোর সময় এক কিউব বা যতটুকু দরকার ব্যবহার করতে পারেন। ফ্রেশ লেবুর রস এর সাদ ই পাবেন।

² রোজার দিন আমরা ভাজাপোড়া সবাই খাই অনেক রকম এর চপ বড়া। সেগুলো যদি আগে থেকে বানিয়ে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যায় তাহলে কাজ অনেকটা এগিয়ে আসে। চপ গুলো বানিয়ে একটা প্লেট এর ওপর একটা একটা করে সাজিয়ে ডিপ ফ্রিজ এ রেখে দিবেব ১/২ ঘন্টার জন্য।তারপর বের করলে দেখবেন অনেক সুন্দর করে শক্ত হয়ে সেট হয়ে গেছে। প্লেট  থেকে সেগুলো তুলে এয়ারটাইট বক্সে রেখে দিবেন ডিপ ফ্রিজে। তাহলে একটার সাথে একটা লেগে গেল না। খুব সহজে আলাদা-আলাদা হয়ে থাকল বক্সের মধ্যে। শুধু ভাজার ১ ঘন্টা আগে বের  ক রে‌  রাখলেই হবে।


 

উৎস: ফেসবুক গ্ৰুপ।