রান্নার সময় প্রয়োজনীয় কিছু টিপস যদি মনে রাখতে পারেন তাহলে মাঝেমধ্যে তা কাজে লাগানো যায়। এতে নানা সমস্যার সমাধান হয় এবং সময়ও বাঁচে। এখানে রান্নার কিছু টিপস শেয়ার করা হলো:
টিপস সমূহ:
☘️মাছ কেটে ধুয়ে ভালো করে পানি ঝরিয়ে তাতে লেবুর রস, লবন এবং সামান্য হলুদ গুড়া মাখিয়ে প্যাকেট করে ফ্রিজে রাখলে মাছে একদম গন্ধ হবে না।
☘️যথাসম্ভব পাতিলে ঢাকানা দিয়ে রান্না করুন। এতে খাবারের পুষ্টিমান ঠিক থাকে।
☘️মাংস রান্নার শুরুতেই লবণ না দিয়ে রান্নার মাঝামাঝি সময়ে লবণ দিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন। এর পর দেখে নিন পরিমাণ ঠিক হল কিনা।
☘️তরকারির ঝোল ঘন করতে চাইলে কিছু কর্ণ ফ্লাওয়ার পানিতে গুলে ঢেলে দিন। লক্ষ্য রাখুন- যেন কর্ণ ফ্লাওয়ারের মিশ্রণটি ভালোমতো তরকারির সঙ্গে মিশে যায়।
☘️চাল ধোয়ার পর ১০ মিনিট রেখে দিয়ে তারপর রান্না করুন অথবা রান্নার সময় ১ চা চামচ তেল দিয়ে দিন। দেখবেন ভাত সুন্দর ঝরঝরে হয়েছে।
☘️মুরগির ফ্যাট এড়াতে চাইলে চামড়া ছাড়িয়ে মুরগি রান্না করুন। কারণ মুরগির চামড়াতেই প্রধান ফ্যাট থাকে।
☘️সবুজ সবজি রান্নার সময় সবুজ রং ঠিক রাখতে চাইলে এক চিমটি চিনি দিন।
☘️রান্না করার জন্য একদিন আগেই মাংস সিদ্ধ এবং ঠাণ্ডা করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।
☘️রান্নার সময় গরম পানি ব্যবহার করুন।
☘️ফ্রিজের মধ্যে আঁশটে গন্ধ দূর করতে ফ্রিজে এক টুকরো কাঠ কয়লা রেখে দিন।
☘️মাংস তাড়াতাড়ি সিদ্ধ করতে চাইলে খোসাসহ এক টুকরো কাঁচা পেঁপে তরকারিতে দিন।
☘️মাছ, মাংস বা ডিমের ঝোলে লবণ বেশি হয়ে গেলে তরকারিতে কয়েকটি সিদ্ধ আলু ভেঙে দিন। স্বাদ ঠিক হয়ে যাবে।
☘️মুরগির মাংস বা কলিজা রান্নায় ১ টেবিল চামচ সিরকা দিন। এতে মাংসের গন্ধ থাকবে না আবার তাড়াতাড়ি সিদ্ধও হবে।
☘️মাছ ভাজার সময় তেল ছিটা রোধ করতে একটু হলুদ ছড়িয়ে দিন।
☘️বেরেস্তা করার সময় পেঁয়াজ লো আঁচে ভেজে নিন এতে পেঁয়াজ লালচে হবে।আর ছোট পেয়াজ দিয়ে বেরেস্তা করুন।
☘️আলু ও ডিম একসঙ্গে সিদ্ধ করুন, আলাদা কাজে ব্যবহার করলেও তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হবে।
☘️স্যুপ রান্নার সময় পাতলা হয়ে গেলে দুটি সিদ্ধ আলু ম্যাশ করে স্যুপে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন।
☘️ডাল তাড়াতাড়ি রান্না করতে আগের রাতেই ভিজিয়ে রাখুন।
☘️সহজে মসলাপাতি খুঁজে পেতে কৌটার গায়ে নাম লিখে রাখুন।
☘️মাছ রান্না করে কাঁচা ধনিয়া পাতা থাকলে তা কুচি করে কেটে বিছিয়ে দিন, স্বাদ অনেকগুণ বেড়ে যাবে।
☘️ডালে বাগার দিতে রসুন কুচি তেলে ভেজে ডালে দিয়ে দিন।
☘️মাংসজাতীয় রান্না করে শেষে বেরেস্তা (পেঁয়াজ কুচি ভাজি) ছড়িয়ে দিন। এতে স্বাদ বেড়ে যাবে।
☘️ডিম সিদ্ধ করতে পানিতে সামান্য লবণ দিয়ে নিন। এতে ডিম খেতে সুস্বাদু হবে। আর ঠাণ্ডা করে ডিম ছিলুন, তা হলে খোসায় লেগে ডিম নষ্ট হবে না।
MORE: রান্নাঘর থেকে দ্রুত বের হওয়ার গুরুত্বপূণ টিপস
☘️এলাচ সম্পূর্ণ গুঁড়ো করে ব্যবহার করা ভালো। এতে এলাচ কামড়ে পড়ে খাওয়ার মজা নষ্ট হবে না। আবার রান্নাতেও সুগন্ধ হবে।
☘️সবজির রং ঠিক রাখতে পাতিল ঢেকে রান্না না করাই ভালো। আর কিছু সবজিকে সামান্য সিদ্ধ করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে কিংবা বরফ কুচিতে রাখলে রান্নার পরও রং ঠিক থাকে। বিভিন্ন রান্নার রেসিপি দেখতে ভিজিট করুন Rasheda’s House ইউটিউব চ্যানেল।
☘️কিছু ভাজিতে কড়াইতে তেল গরম হলে, যা দেবেন তার সঙ্গে সামান্য লবণ দিয়ে দিন, তেলের ছিটকা উঠবে না।
☘️লাল সরষের ঝাঁজ বেশি হয়। হলুদ সরষে ব্যবহার করলে তিতা হয় না। সরষে বাটার সময় লবণ আর কাঁচামরিচ একসঙ্গে বাটলে তিতা হয় না।
☘️বর্ষাকালে লবণ গলে যায়, তাই একমুঠো পরিষ্কার চাল পুঁটলি করে বেঁধে লবণের পাত্রে রেখে দিন।
☘️কাচের গ্লাসে গরম কিছু নিতে গেলে অনেক সময় ফেটে যায়, তাই গরম কিছু ঢালার আগে গ্লাসে একটি ধাতু নির্মিত চামচ রেখে ঢাললে গ্লাস ফাটবে না।
☘️আলু ও আদা বালির মধ্যে ডুবিয়ে রাখলে অনেক দিন পর্যন্ত টাটকা থাকে।
☘️যে কোনো খাবার রেফ্রিজারেটরে রাখলে ঢাকনা দিয়ে রাখা ভালো। ফলে এক খাবারের গন্ধ আরেক খাবারে যায় না এবং রেফ্রিজারেটও গন্ধ হয় না।
☘️শিশি বা কৌটার মধ্যে বিস্কিট রাখার আগে সামান্য চিনি বা মোটা কাগজের ঠুকরো রেখে দিলে বিস্কিট অনেক দিন মচমচে থাকে।
☘️আঙুর, টমেটো প্রভৃতি ফল ফুটন্ত পানিতে ২ মিনিট রেখে সঙ্গে সঙ্গে ঠাণ্ডা পানিতে রেখে দিলে সহজেই খোসা ছড়ানো যায়।
☘️চাল ও ডালের কৌটায় কয়েকটি শুকনো নিমপাতা বা শুকনো মরিচ রাখলে সহজে পোকা ধরবে না।
☘️কাঁচামরিচের বোঁটা ফেলে পানি শুকিয়ে কাপড় বা কাগজের প্যাকেটে সংরক্ষণ করলে বেশি দিন ভালো থাকে।
☘️চিকেন ফ্রাই, চিকেন রোল— এসব খাবার অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়িয়ে রাখলে সহজে নষ্ট হয় না।
☘️খাবার পুড়ে পাত্রের তলায় আটকে থাকলে পাত্রটিকে লবন পানিতে ভর্তি করে পানি ফোটালে পোড়া অংশ দ্রুত আলাগা হয়ে উঠে যায়।
☘️আচার বয়াম থেকে নেওয়ার সময় পরিষ্কার চামচ ব্যবহার করলে আচারে ফাঙ্গাস পড়ে না।
Leave a Reply