সামনে আসছে শবে বরাত।শবে বরাতে আমরা সবাই বিভিন্ন ধরনের হালুয়া রান্না করি,তার মধ্যে সবচেয়ে সহজলভ্য হালুয়া হচ্ছে মসুর ডালের হালুয়া। এই হালুয়া খেতে যেমন মজার তেমন বানাতেও অনেক সহজ। মসুর ডাল দিয়ে এই মজার হালুয়া বানাতে হলে বাটাবাটি করতে হয় না,খুবই সহজ এবং ঝটপট মসুর ডালের হালুয়া রান্না করা যায়।
উপকরণ সমূহ:
মসুর ডাল ১কাপ +হাফ কাপ
ঘন তরল দুধ ৩ কাপ(৫কাপ দুধ জ্বাল দিয়ে তিন কাপ করতে হবে।
চিনি ১ কাপ +⅓ কাপ
দারুচিনি এক টুকরা
সবুজ এলাচ পাউডার হাফ চা চামচ
সয়াবিন তেল হাফ কাপ
ঘি হাফ কাপ
সামান্য লবণ
পছন্দমত কিসমিস ও বাদাম
কুকি কাটার
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে মসুর ডাল খুব ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে পরিমাণমতো নরমাল পানিতে ৩ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। ৩ ঘণ্টা পর ডালটা পানি থেকে উঠিয়ে নিতে হবে। এরপর চুলায় একটা হাড়িতে ডাল দিয়ে সাথে ঘন দুধ আর এক টুকরো দারুচিনি দিয়ে ডাল সিদ্ধ করে নিন। সিদ্ধ করার সময় কোন পানি দেওয়া যাবে না শুধুমাত্র দুধ দিয়ে সিদ্ধ করতে হবে। ডালে দেওয়া দুধ যখন পুরোপুরি শুকিয়ে যাবে এবং ডালটাও সিদ্ধ হয়ে যাবে তখনই চুলা থেকে নামিয়ে ফেলতে হবে। এরপর পুরোপুরি ঠান্ডা করে ডাল ব্লেন্ড করে নিন। ব্লেন্ড করার সময় দারুচিনির টুকরা ফেলে দিন।
এখন অন্য একটা প্রাইংপ্যানে চুলায় ঘি আর তেল দিন। তেল আর ঘি যখন ভালো মতো গরম হবে তখনই ব্লেন্ড করা ডাল দিয়ে দিন।সাথে চিনি ও দিন। এরপর চুলার আঁচ মিডিয়ামে করে ডাল অনবরত নাড়াচড়া করতে হবে।ডাল যখন ঘন হয়ে আসবে তখনই এলাচির পাউডার এবং মিষ্টির ব্যালেন্স ঠিক রাখার জন্য সামান্য একটু লবণ দিন।এরপর যখন প্যান এর ঘা ছেড়ে আসবে আসবে তখনই ৩টেবিল-চামচ ঘি দিন। এরপর পছন্দমত কিসমিস আর কাজুবাদাম পেস্তা বাদাম কুচি করে দিন।আর ঘি অবশ্যই নামানোর আগে দিবেন।তাহলে ঘি এর খুব সুন্দর কাঁচা একটা ফ্লেভার পাওয়া যায়। বাদাম কুচি দেওয়ার পর আরও পাঁচ মিনিটের মতো জাল করুন। যখন দেখবেন ডাল পুরোপুরি প্যান এর ঘা ছেড়ে আসছে এবং কিছুটা ভারী হয়ে গেছে আর নাড়াচাড়া করা যাচ্ছে না তখনই চুলা থেকে নামিয়ে নিন।
এখন একটা ছড়ানো প্লেট অথবা ডিশ এ সামান্য ঘি ব্রাশ করে নিন। এরপর ডাল দিয়ে দিন ।একটা স্পাচুলা দিয়ে ডাল চারপাশে ছড়িয়ে দিন, পুরোপুরি ঠান্ডা হওয়ার পর পছন্দমত সেইফ অথবা বরফি আকারে কেটে পরিবেশন করুন রুটির সাথে অথবা এমনি ও খাওয়া যাবে।
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Leave a Reply